ঢাকা: অগ্রাধিকামূলক বাণিজ্য চুক্তিসহ (পিটিএ) দুই দেশের মধ্যে আটকে থাকা চুক্তি ও সমঝোতাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সই করতে চায় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যকার এফওসিতে এ বিষয়ে একমত হয়েছে ঢাকা-জাকার্তা। এছাড়া দুই দেশের কূটনীতিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রথম পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক বা ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া–প্যাসিফিক ও আফ্রিকা বিষয়ক মহাপরিচালক আবদুল কাদির জিলানি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন। এ সময়ে আটকে থাকা সমঝোতা ও চুক্তিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সই করার বিষয়ে একমত হয়। সেই সঙ্গে খাতভিত্তিক বিষয়গুলো চিহ্নিত করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। বৈঠকে দুই দেশই দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করার বিষয়ে জোর দিয়েছে। এটি হলে দুই দেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যগুলো সংশ্লিষ্ট দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
বৈঠকে তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্যগুলোর ইন্দোনেশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্যে সুরক্ষা ব্যবস্থা যাতে না নেওয়া হয় সেটিও অনুরোধ করা হয়।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পাশাপাশি দুই দেশ দুর্নীতি রোধ, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রপ্তানি উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে সফর বিনিময়ে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন উভয়পক্ষ। বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
আজ দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দেশের কূটনীতিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে একটি এমওইউ সই করে।
দুই দেশে যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উৎযাপনের বিষয়ে একমত হয়েছে। যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়, বাণিজ্য মেলা, সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং দুই দেশের ভাষাতেই দুই দেশের জাতির পিতার আত্মকাহিনী প্রকাশের বিষয়ে একমত হয়েছে ঢাকা-জাকার্তা।