ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথভাবে ডলারের বিনিময় হার বেঁধে দিচ্ছে। ডলারের এই দর বাজার ভিত্তিক হচ্ছে না। এর ফলেই ফরমাল মার্কেট ও অবৈধ চ্যানেলের ব্যবধান বেড়ে যাচ্ছে। তবে সত্যিকার অর্থে ডলার রেট বাজার ভিত্তিক হলে ফরমাল মার্কেট ও অবৈধ চ্যানেলের ব্যবধান কমবে, হুন্ডি কমে আসবে। তখন ডলার সংকটও কমবে এবং রিজার্ভ বাড়তে থাকবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে দেশের আর্থিক সংকট নিরসনে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের আয়োজনে অংশ নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব খাইরুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও প্রধান অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা।
ড. জাহিদ বলেন, ‘দেশে চলমান ডলার সংকট নিরসনে নতুন করে ঘোষিত আড়াই শতাংশ প্রণোদনার সিদ্ধান্ত দীর্ঘ মেয়াদে কার্যকর করতে ডলার রেট পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তা না হলে ডলার অবৈধ চ্যানেলে লেনদেনের পথটা শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি বাজারের নজরদারি বাড়াতে হবে।’
দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবাদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খেলাপি ঋণ ছাড়াও যে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণগুলো ছিল সেগুলো এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সেগুলো নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন করাটা খুব জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ব্যাংকের পক্ষ থেকে রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে এটা কাজে আসবে না। কারণ, যতক্ষণ পর্যন্ত ডলারের অফিশিয়াল এবং আনঅফিশিয়াল রেটে পার্থক্য থাকবে ততক্ষণ রেমিটাররা অবৈধ পথেই ডলার পাঠাবেন।’