হোম > অর্থনীতি

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনও বাড়ছে, এটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরই ফল: এমএ মান্নান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মূল্যস্ফীতি থাকলেও সেটি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান। তাঁর দাবি, মূল্যস্ফীতি হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরই ফল। আর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনও বাড়ছে। ফলে এর অভিঘাত সেভাবে পড়ছে না।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডির) জাতীয় বাজেট সংলাপে এসব কথা বলেন এমএ মান্নান।

সিপিডির ট্রেজারার এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে এমএ মান্নান ছাড়াও, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণ সূক্ষ্ম সুশাসন, গণতন্ত্র চায় না। তারা চায় আরও বেশি প্রকল্প, আরও ভালো পানি, আরও ভালো রাস্তা, আরও বেশি স্কুল। গ্রামের দরিদ্র শ্রেণির ভোটাররা টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন চায়, ছেলে-মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি চায়। এই যখন বাস্তবতা, তখন বিরোধী দলের ভাইয়েরা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র নাই, সে কারণে আপনারা আসতে পারছেন না, এটা বলে আপনার জাতির প্রতি দায়িত্বে অবহেলা করছেন।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ে সমালোচনার জবাবে এমএ মান্নান বলেন, ‘আমাদের মূল্যস্ফীতি আছে। তবে এটা ক্রিপিং-ক্রিপিং মানে পায়ে-পায়ে হাঁটছে। এটা যদি সবল হতো, তার ফল হতো অচিন্তনীয়। এই যে দমন করে রাখা এটা আমাদের অর্থনীতির শক্তি, আমার নয়। মূল্যস্ফীতি প্রবৃদ্ধিরই একটি ফল। একটা ছাড়া অন্যটা হয় না। মূল্যস্ফীতি যেমন হচ্ছে, তেমনি বেতন বৃদ্ধিও হচ্ছে। তার মানে ছোবলটা একটু কমছে।’

মূল্যস্ফীতির এ সময়ে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের কষ্ট বেড়েছে—এ যুক্তি মানতে নারাজ এমএ মান্নান। তিনি বলেন, ‘আমি ভ্যাটের সমর্থক। অনেকে বলেন, গরিবের ওপর কেন চাপানো হলো। আসলে এটা অজান্তে হয়, যার ওপর চাপে সে টেরও পায় না। গরিবের জন্য চাল, ডালে ভ্যাট নেই। অন্যগুলো যা আমরা সবাই ব্যবহার করি, সেগুলোর ক্ষেত্রে ৫০ টাকার মালে ৫ টাকা ভ্যাট থাকলে বোঝা যায় না।’

অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। এ নিয়েও অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কালোটাকা বৈধ করার এই সুযোগের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকতার করা হচ্ছে। এতে সৎভাবে উপার্জন করা মানুষ নিরুৎসাহিত হবেন।

বন্ধ সব পোশাক কারখানা, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল: আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত

যশোরের খেজুর রস: লক্ষ্য ১২০ কোটি টাকার গুড় উৎপাদন

ইসলামি ১০ ও সরকারি ৬ ব্যাংক: ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল আরও এক মাস