হোম > সারা দেশ > টাঙ্গাইল

জমির বিরোধে মা–ছেলেসহ ৪ জনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, মামলা নেয়নি পুলিশ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি নিয়ে বিরোধে একই পরিবারের মা, দুই ছেলে ও ছেলের বউকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেছে। আজ মঙ্গলবার মধুপুর পৌরসভার পুন্ডুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আজকের ঘটনায় কেউ লিখিত দেয়নি বলে মামলা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুপক্ষকে ডেকে এনে ১৪৪ ধারা জারি ও তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি রক্ষায় জমিতে যেতে বারণ করা হয়েছে।’

ভুক্তভোগীরা হলেন-পুন্ডুরা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৫৫), তার বড় ছেলে আলমগীর হোসেন, ছোট ছেলে জুব্বার আলী ও ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম।

এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শাফিয়া বেগম ও জ্যোৎস্না বেগমকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, বহুদিন থেকে আলমগীর ও জুব্বার মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী কালু মিয়া সেখসহ তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ। দুপক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। ২৩ বছর বাঁটোয়ারা মামলা চলার পর গত ২৯ জানুয়ারি আলমগীর ও জুব্বার রায় পেয়ে জমির খাজনা খারিজ করেছেন। মাঠ ও প্রিন্ট পরচা তাদের নামেই এসেছে। প্রতিপক্ষ কালু মিয়া সেক, আজগর আলী, সামাদ মিয়ারা এ নিয়ে গত কয়েক মাস আগে জমির মালিক দাবি করে আদালতে ১৪৪ জারি চেয়ে আবেদন করলে আদালত সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

আলমগীর ও জুব্বার কাগজপত্রের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারার বিপরীতে জজ কোর্টে আপিল করেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পরিবারে উত্তেজনা চলছিল। আজ মঙ্গলবার সকালে কালু মিয়া গং বিবদমান জমিতে গিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আলমগীর, জুব্বার বাধা দিতে গেলে তাদের পিটিয়ে পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারা। মা শাফিয়া ফেরাতে গেলে তাকেও গাছে বেঁধে ফেলেন। শাশুড়িকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম। তাকেও প্রতিপক্ষের লোকেরা হাত–পা বেঁধে তাকে বসিয়ে রাখেন।

এ অবস্থায় পুলিশকে ফোন দিয়ে জানানো হলেও পুলিশ দ্রুত না আসায় ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে গাছের সঙ্গে বাধা অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় মাতব্বরেরা ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। মধুপুর থানাকে ফোন করে জানানো হয়। পুলিশ উদ্ধার শেষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শাফিয়া, ছেলের বউ জ্যোৎস্নাকে মধুপুর উপজেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। জুব্বারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

১০০ শয্যা বিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাফিয়া বেগম ও জোৎস্না বেগমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আলমগীর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ একজন

হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনে নিঃসন্দেহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায় আছে: জামায়াত নেতা

টাঙ্গাইলে ট্রাকচাপায় এক ব্যক্তি নিহত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

ভূঞাপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাঁচজনকে জরিমানা

সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে, নির্বাচনে যাব না: কাদের সিদ্দিকী

ভূঞাপুরে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যুবক নিখোঁজ

সখীপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক মাসের কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা

ঘাটাইলে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, যুবদলের দুই নেতা নিহত

মির্জাপুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ ইটভাটা