সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জিয়াছমিন খাতুন নামের এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী ও ননদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার মোট আসামি ছিলেন ছয়জন। এর মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামের শুকুর আলী প্রামাণিকের ছেলে দোলন হোসেন প্রামাণিক ও মেয়ে সুজনী খাতুন (ভাই-বোন)। খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আবুল কালাম, আব্দুল হামিদ, আন্তাহার আলী ও রমেছা বেগম।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে ধানগড়া গ্রামের দোলন হোসেন প্রামাণিকের সঙ্গে একই গ্রামের জিয়াছমিন খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নেয়। তবে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী দোলন হোসেন প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিসও হয়।
পরে ২০১৯ সালের ১৩ জুন পারিবারিক বিরোধের জেরে জিয়াছমিন খাতুনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা হাজি মো. ইউছুব আলী প্রামাণিক বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।