হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শিশু সাজিদকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সকালের আলো ফোটার আগেই কোয়েলহাট পূর্বপাড়া থমকে যায়। মসজিদের মাইকে বারবার ভেসে আসে শিশু সাজিদের জানাজার খবর। দুদিন ধরে শোকে স্তব্ধ গ্রামের বাতাস আরও ভারী হয়ে ওঠে এ ঘোষণায়। হাজারো মানুষ চোখের পানি ফেলেন তাকে দেখতে এসে।

সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামের মাঠে জানাজা হয় দুই বছরের শিশু সাজিদের। এরপর দাফন করা হয় পাশের গোরস্তানে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার এ গ্রামের রাকিবুল ইসলামের শিশুসন্তান সাজিদ গত বুধবার দুপুরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় মাটির ৫০ ফুট গভীর থেকে।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জানাজা শেষে তাকে নেককিড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে সবাই এক পথে চলতে থাকেন সাজিদের বাড়ির দিকে।

সাজিদের ছোট দেহটি জানাজার জন্য মাঠের দিকে নিয়ে যাওয়ার আগে বাড়িতে আবার কান্নার ঢেউ ওঠে। স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ, বিশেষ করে তার মায়ের আকুতি মানুষকেও কাঁদায়। তিনি বারবার ছুটে যেতে চাইছিলেন সন্তানকে ছুঁয়ে দেখতে, জড়িয়ে ধরতে, কিন্তু তাঁকে ধরে রেখেছিলেন আশপাশের নারীরা। তবে থামাতে পারেনি তাঁর বুকফাটা আর্তনাদ।

গ্রামের মাঠে জানাজায় মানুষের ঢল নামে। কষ্ট নিয়ে গ্রামের বৃদ্ধ, তরুণ, স্কুলপড়ুয়া শিশু—সবাই এতে অংশ নেয়। জানাজার নামাজ পড়ান কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। পরে গোরস্তানে মরদেহ দাফন করা হয়। দাফন শেষে সবাই ছোট্ট শিশুটির জন্য হাত তুলে দোয়া করেন।

আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি, বিচার চাই: সাজিদের বাবা

প্রাথমিকে শতভাগ বই, মাধ্যমিকে এল অর্ধেক

সব চেষ্টা—আকুতি বিফলে, মায়ের কোলে মৃত সাজিদ

শিশু সাজিদ মারা গেছে

শিশু সাজিদকে উদ্ধার, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে

শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আট দিনব্যাপী বইমেলা শুরু

৪২ ফুট খুঁড়েও পাওয়া যায়নি শিশু সাজিদকে, উদ্ধার অভিযান চলবে

বাবা-মায়ের মাঝখানে ঘুমিয়ে থাকা শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল