রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যার ২০ বছর পর স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাজশাহীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুস সালামের আদালত এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. এলাহী (৩৫)। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বড় রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বাসিন্দা। পেশায় একজন কৃষক। নিহত স্ত্রীর নাম সোনাভান (১৯)।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শরৎচন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট পুঠিয়া থানার উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন রাতে স্ত্রী ভাত খেতে যাচ্ছিলেন না। তিন-চারবার বলার পরেও স্ত্রী ভাত খেতে যাননি। তখন তার ওপর রাগ করে স্বামী মো. এলাহী স্ত্রীর ঘাড়ের ওপরে কাঠের লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় সোনাভান নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান।
পরে ঘটনাটি উজির আলী নামে এক ব্যক্তি পুঠিয়া থানার পুলিশকে জানান। তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে এসআই মকবুল হোসেন সরকার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি মো. এলাহী গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।