রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্ত্রীর শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মো. সুরুজ (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর বাড়ি বাঘার চক নারায়ণপুর গ্রামে। বাবার নাম শহিদুল মাঝি। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর-১২ লালডেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৫-এর রাজশাহীর সিপিএসসি ও র্যাব-৪-এর মিরপুর ক্যাম্পের সদস্যরা এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। শনিবার সকালে র্যাব-৫ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে অনন্যা খাতুন মুন্নির (২৫) সঙ্গে সুরুজের বিয়ে হয়। সংসারজীবনে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আড়াই লাখ টাকা যৌতুক চাওয়া হতো। মুন্নির পরিবার ২০১৮ সালের মে মাসে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এরপরও সুরুজ আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় মুন্নিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তিনি।
গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুরুজ আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর ও অপমান করেন। পরদিন ভোর পৌনে ৪টার দিকে সুরুজ স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। এরপর পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গায়ে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মুন্নির আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে মুন্নি হাসপাতালেই মারা যান।
র্যাব জানায়, নারকীয় এই ঘটনার পর নিহত মুন্নির ভাই বাদী হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৫ ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর থেকে সুরুজ পলাতক ছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।