নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এর পাশাপাশি যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যৌন হয়রানির ঘটনা দেখে প্রতিবাদ না করাটা একটা অপরাধ। কর্মক্ষেত্রে এবং জনবহুল স্থানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইনের গুরুত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সচেতনতামূলক এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
আজ রোববার ব্র্যাক সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের আয়োজনে রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়।
ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের কর্মসূচি সমন্বয়ক মেহের নিগার, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম, কারিগরি ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা মোরসলিন সরকার, মিতা সরকার প্রমুখ
সচেতনতা মূলকসভায় আলোচকেরা বলেন, ‘নারীদের কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে নারীদের মৌখিক, ইঙ্গিতমূলক ও শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়। এতে নারীরা সমাজে পিছিয়ে পড়ছেন।’ তাই সমাজে নারীদের প্রতি যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সমাজের সচেতনমহলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
আয়োজকেরা জানান, ব্র্যাকের ‘অগ্নি’ প্রকল্পের আওতায় নারীদের প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি রোধে রাজশাহী ও গাজীপুরের মোট ৮০টি স্কুলের ১৬ হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। তাদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।