রাজশাহীতে ‘ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন’ ও ‘বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি প্রোডাকশন’ বিষয়ে ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে নিয়ে চার মাসব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা এসব খাবার প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন। তবে এই কোর্সে অংশ নিতে আগ্রহীদের পড়তে হয়েছে তীব্র প্রতিযোগিতায়। এমসিকিউ পদ্ধতিতে দিতে হয়েছে পরীক্ষাও। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৫০ জনকে বাছাই করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা শুরু হতে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এর সমন্বয় করছে নগরের গণকপাড়ায় অবস্থিত প্রতীতি টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমী। আজ সোমবার সকালে সেখানেই আগ্রহী শতাধিক তরুণ-তরুণীর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
উত্তীর্ণ ৫০ জনকে নিয়ে ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই কুকিং কোর্স। চলবে মার্চ পর্যন্ত। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দুই মাস রান্নার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের পরের দুই মাস তাঁরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় কাজ করার সুযোগ পাবেন।
প্রশিক্ষণের সুযোগ পেতে নগরের বিনোদপুর থেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন গৃহিণী সুমাইয়া আরেফিন। তিনি বলেন, ‘আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। তাই প্রশিক্ষণ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
হাদীর মোড় থেকে এসেছিলেন বেনজির আহমেদ। রান্নার প্রতি আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রান্না শিখে আমি দেশের বাইরে যেতে চাই। এ জন্যই প্রশিক্ষণ নিতে চাই।’
এসআইসিআইপি প্রকল্পের সমন্বয়কারী ও ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশনের প্রধান প্রশিক্ষক ইশরাত জাহান রুবা বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। দক্ষ জনবল তৈরি করে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমাদের একাডেমির জব প্লেসমেন্ট সেন্টার আছে। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’