নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন স্থানে ধুমধামে চলছে ইলিশ শিকার। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার রাজবাড়ী ও শেহাংগল এলাকাসহ নদীর একাধিক পয়েন্টে মৌসুমি জেলেরা নির্বিঘ্নে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ শিকার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযান ও যোগসাজশের কারণেই এমন অবাধে মাছ শিকার সম্ভব হচ্ছে। যদিও মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌ পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি করছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, উপজেলা মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী অভিযানের খবর আগেই মৌসুমি জেলেদের কাছে পৌঁছে দেন। ফলে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে জেলেরা নদীতে নামেন না বা অন্য অবস্থানে চলে যান। রাজবাড়ী, শেহাংগল ও অলংকারকাঠি এলাকার জেলেরা জানান, মৎস্য অফিসের অভিযানের খবর নদীর পাড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারিয়া কনক লোকবলের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘লোকবলের সংকটের কারণে শতভাগ অভিযান সফল করা সম্ভব হচ্ছে না।’ তবে তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বানারীপাড়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে দুটি জাল উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ পুলিশের দাবি, অভিযানের সময় নদীতে কোনো জেলে বা জাল পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেছেন, অন্য উপজেলার মতো নেছারাবাদে এবার তেমন প্রচার-প্রচারণা হয়নি। একদিকে অভিযানের ট্রলার নামছে, অন্যদিকে নদীর অন্য প্রান্তে ইলিশ ধরার উৎসব চলছে—এমন পরিস্থিতিতে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।