পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার ভোররাতের কোনো একসময় দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়। এতে স্মৃতিস্তম্ভের কিছু অংশ কালো হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এ ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশের মাটিতে পালিয়ে থেকে উসকানি মূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, ‘এই অগ্নিসংযোগ আগুন-সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের কাজ। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তারা ক্ষমতায় ছিল, তখনো তারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, বাসে আগুন দিয়েছে এবং বিএনপির ওপরে দোষ চাপিয়েছে। পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি আওয়ামী লীগের কাজ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’