স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ৯ দিনের জন্য বিশেষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরে আরও তিন দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কঠোর অবস্থানে থাকবে। প্রয়োজন হলে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়সীমা সমন্বয় করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ৩০ হাজার সেনা সদস্য মাঠে থাকলেও নির্বাচনের সময় তা বাড়িয়ে প্রায় এক লাখ করা হবে। এ ছাড়া প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য, ৩৫ হাজার বিজিবি সদস্য, পাঁচ হাজার নৌবাহিনীর সদস্য, চার হাজার কোস্টগার্ড সদস্য, আট হাজার র্যাব সদস্য এবং আনুমানিক সাড়ে পাঁচ লাখ আনসার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা জোরদারে আনসার সদস্যদের অস্ত্র ও বডি ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে।
নির্বাচনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইলেকশন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে, রোজার আগেই অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে প্রশাসনের রদবদল করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের মামলার রায় ১৭ নভেম্বর ঘোষণা হবে। এ জন্য দেশজুড়ে অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় থাকবে, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
সরকার পরিবর্তন প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ দেশে সরকার পতন কোনো তিনজন মানুষের কারণে হয়নি। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই সরকার পরিবর্তন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, তারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজনও পালিয়েছে। এটি জনগণের ইচ্ছার ফসল।
মতবিনিময় শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পটুয়াখালী পুলিশ লাইনস ও কোস্টগার্ড বেইস পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ ও নৌ পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রাতযাপন করবেন। আগামীকাল রোববার সকালে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বরিশাল হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানা গেছে।