উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভোরের কুয়াশা আর বেলা গড়ালে রোদের তেজ, দুই মিলে যেন দিনের মধ্যে ঋতু বদলের অনুভূতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষায়, সকাল-বিকেলে গায়ে বাড়তি পোশাক, দুপুরে আবার খোলা—এভাবেই চলছে দৈনন্দিন জীবন।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা ও ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায়। এর আগে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলায় রোদের তেজ থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে ঠান্ডার চাপ। স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল-বিকেলে জ্যাকেট লাগে, দুপুরে আবার গরম। দিনে দুই আবহাওয়া।’ চায়ের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যা পড়লেই দোকানে ভিড় বেড়ে যায়। চায়ের কাপে ধোঁয়া উঠতে থাকে। গল্পও জমে।’ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সকালের ঠান্ডা বাতাস একটু বেশি ভোগাচ্ছে বলে জানান অভিভাবকেরা।
আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘কদিন ধরে ভোরের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমছে। দিনে রোদ থাকায় গরম লাগে, তবে রাতে শীত অনুভূত হয়। মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ স্বাভাবিক থাকায় এখন তাপমাত্রার ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা ও ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’