পঞ্চগড়ে আন্তসীমান্ত নদী করতোয়া থেকে মো. মানিক হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শুকানি সীমান্তে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিরা।
নিহত মানিক হোসেন দেবনগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার রাতে মানিক, আব্দুল হুদাসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী সীমান্তে গরু আনতে যান। ওই রাতেই গুলির শব্দ শোনা যায়। এর পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে নদীতে ভেসে আসা লাশটি প্রথম দেখতে পান স্থানীয় পাথরশ্রমিকেরা। পরে তাঁরা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইবুল ইসলাম বলেন, ‘গরু ব্যবসায়ীরা প্রায়ই এই সীমান্ত দিয়ে পারাপারের চেষ্টা করেন। এর আগেও আমার এলাকার সুজন নামে এক ব্যবসায়ী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। আমরা এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা না করে, আইনের আওতায় আনা উচিত।’
এদিকে নিখোঁজ থাকা আব্দুল হুদার স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ওই রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে জানতে পারি, তিনি ভারতে ধরা পড়েছেন। আজ তাকে দেশে ফেরানোর কথা।’
তেঁতুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজির হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পাই, নদীতে একটি লাশ ভাসছে। স্থানীয়দের মুখে শুনেছি, মানিক তিন থেকে চার দিন আগে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং গুলিবিদ্ধ হয়। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিধি মোতাবেক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে লাশের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘আমরাও খবর পেয়েছি যে নদীতে একটি লাশ পাওয়া গেছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।’