হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। আজ রোববার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডার অনুভূতি বেশি থাকে। রোদ উঠলে চারপাশ ধীরে ধীরে উষ্ণ হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত সপ্তাহজুড়ে জেলার তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করেছে।
শনিবার ১৩ দশমিক ১, শুক্রবার ১৩ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ২, বুধবার ১২ দশমিক ৯, মঙ্গলবার ১২ দশমিক ৮, সোমবার ১৩ দশমিক ৪ এবং গত রোববার ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
পঞ্চগড় শহরের রিকশাচালক চানমিয়া হোসেন বলেন, ‘ভোর থেকে কামাই কমে গেছে। লোকজন ঠান্ডায় বের হয় না। তবু কাজ তো করতে হবে, তাই মোটা কাপড় গায়ে দিয়েই রিকশা চালাই।’
দোকানি মশিউর রহমান বলেন, ‘ভোরে দোকান খুলতেই হাত-পা জমে আসে। ঠান্ডা হাওয়া সরাসরি লাগে। সকাল সকাল লোকজনও খুব একটা বের হয় না।’
জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আবু সায়েম বলেন, ‘দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা—এই দুইয়ের তারতম্যে শীতজনিত রোগী বাড়ছে। প্রতিদিনই শিশু ও বয়স্ক রোগী ভর্তি হচ্ছেন। কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। ডিসেম্বরের দিকে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে।’