ময়মনসিংহের ভালুকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে সাবিনা আক্তার (৪২) নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার উপজেলার সিডস্টোর উত্তর বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
সাবিনা আক্তার ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের তিরখী গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন থেকে সাবিনা ও তাঁর স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সিডস্টোর উত্তর বাজার ভাড়া বাসায় স্বজনেরা খোঁজ নিতে এসে ঘরটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ পান। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে সাবিনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় থানা-পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তালা ভেঙে ঘর থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।
তাঁরা আরও জানান, নিহতের স্বামী স্বপন মিয়া পলাতক। তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে কুটেরচর গ্রামের বাসিন্দা।
সাবিনার ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন বলেন, তার বোন তিন সন্তানের জননী। সাবিনা আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বপন মিয়া ঘরটি তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীর কঠিন শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।
জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আল-আমিন খান নয়ন বলেন, নিহত সাবিনা আক্তার তাঁর বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ চলছিল।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঈদের দিন থেকে নিহত ও নিহতের স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সিডস্টোর ভাড়া বাসায় স্বজনেরা খোঁজ নিতে এসে ঘরটি বাইর থেকে তালাবদ্ধ পায়। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে তালা ভেঙে ঘরের মেঝে থেকে নিহতদের অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড, তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।