বেনাপোল–ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী বাসের সিটের নিচে পাওয়া ব্যাগে ছিল স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, গাড়ির চাবি ও আইফোন। ব্যাগের মালিককে খুঁজে বের করে তা ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী ও বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান রনি।
আজ সোমবার বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ব্যাগটি মালিকের হাতে তুলে দেন এই শিক্ষার্থী।
ব্যাগের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ শহরের শম্ভুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও শাপলা হ্যাচারি নামের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। তিনি পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন।
রনি জানান, গত শনিবার (২৩ আগস্ট) তিনি বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শামীম এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে ঝিনাইদহ থেকে ময়মনসিংহ আসছিলেন। ময়মনসিংহে বাস থেকে নামার সময় পাশের সিটের নিচে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ তাঁর নজরে আসে। ভুলবশত কোনো যাত্রী ফেলে গেছেন ভেবে তিনি ব্যাগটি নিয়ে আসেন।
ব্যাগে দেখতে পান একটি আইফোন, কিছু স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ওষুধ। আইফোনটি চার্জ না থাকায় বন্ধ ছিল। ব্যাগে থাকা চার্জার দিয়ে চার্জ করে সচল করার পরও এক দিনেরও বেশি সময় ওই ফোনে কোনো কল আসেনি।
এতে হতাশ হয়ে তিনি থানায় জানানোর কথা ভাবছিলেন। অবশেষে আজ সকালে ফোনে একটি মেসেজ ও একই নম্বর থেকে কল এলে প্রকৃত মালিককে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
ব্যাগ ফিরে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন আনোয়ার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি পর্তুগালের ভিসার আবেদন করেছিলাম। ভারতে অবস্থিত পর্তুগালের দূতাবাসে সাক্ষাৎ শেষে বেনাপোল হয়ে ময়মনসিংহে ফিরছিলাম।
‘আমার স্ত্রী অসাবধানতাবশত বাসে ব্যাগটি ফেলে যান। ব্যাগে আইফোনসহ ছিল জরুরি কাগজপত্র ও মূল্যবান জিনিস। ফোনে আমার ইমিগ্রেশনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্টস ছিল। এগুলো হারালে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হতো। কিন্তু একজন সৎ মানুষ আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এ জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’