পুরান ঢাকায় একটি বাসার সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ রহমানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।
আজ রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিতের দাবি জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব, আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, স্বাক্ষর, উল্লাস, রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদকে কে বা কারা যেন হত্যা করেছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের শিগগির গ্রেপ্তার করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এখনো তার খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা এই সরকারকে আর সময় দেব না। আমরা বলতে চাই, এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।’
ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘একের পর এক ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাম্য ও সাজিদ আবদুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জুবায়েদকে হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে ইন্টেরিমকে জুবায়েদের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থ প্রশাসন ও কুষ্টিয়ার প্রশাসন সাজিদের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’
এর আগে আজ সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ রহমানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি প্রাইভেট পড়ানোর জন্য একটি বাসায় যান। ওই বাসার সিঁড়িতে তাঁর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। জুবায়েদ জবির কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।