কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের আটটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগেই প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। আজ শুক্রবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী অধির চন্দ্র সাহার ১৭ লাখ, সার-তেল, বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের ১০ লাখ, কাকলী ট্রেডার্সের মালিক হাছেন আলীর ১০ লাখ, মুদিদোকানি মমিনুল ইসলাম, সুপারি ব্যবসায়ী আতাউর ও ইব্রাহিমের ৩ লাখ, সেলুন মালিক ফণিচন্দ্র শীলের ১ লাখ ৫০ হাজার এবং মসলা ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর আলীর ৫০ হাজার টাকার মালপত্র পুড়ে যায়।
স্থানীয় আশিকুর রহমান বলেন, ‘ভোর পৌনে ৫টার দিকে উঠে দেখি বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন জ্বলছে। মানুষজনকে ডাকাডাকি করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’ খাইরুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে কচাকাটা বাজারের উত্তর পাশের একটি দোকানে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন দুই পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমিনুর রহমানের ছোট ভাই মমিনুল ইসলাম জানান, তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অধিরচন্দ্র সাহার ছেলে প্রাণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘রাতে বাবা দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। ভোরে মানুষের হইচই শুনে বাজারে এসে দেখি দোকানে আগুন জ্বলছে। আগুনে আমাদের ১৭ লাখ টাকার মালপত্র পুড়ে গেছে।’
এ বিষয়ে কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ খ ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে কাজ করে। নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।