হোম > সারা দেশ > কিশোরগঞ্জ

আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর সময় দোকানপাটে আগুন দিল বিবাদী পক্ষ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

জমির দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর সময় বিবাদী পক্ষ দোকানপাটে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জয়কা ইউনিয়নে বালিয়াবাড়ি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আগুনে চারটি দোকানের মালপত্র পুড়ে গেছে।

জানা গেছে, উচ্ছেদ অভিযানে করিমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন কবিরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ আদালতের লোকজনের নেতৃত্বে দোকানপাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। একটি এক্সকাভেটর দিয়ে পুড়ে যাওয়া দোকানপাটের টিন ও আসবাব সরানো হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা কাজ তদারকি করছেন।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, জয়কা ইউনিয়নের কুকিমাদল গ্রামের নজরুল ইসলাম ও মো. মোকারমের সঙ্গে বাজারের ২৯ শতক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। রাস্তার পাশে ওই জমিতে বেশ কিছু দোকান আছে। পুরো জমি এত দিন নজরুল ইসলামের দখলে ছিল। এসব নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার দরবার-সালিস হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মোকারম। সম্প্রতি মামলায় মোকারমের পক্ষে রায় দেন আদালত। পরে আদালত জমিটি থেকে দোকানপাট উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে গতকাল আদালতের লোকজন সেখানে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদী নজরুলের ভাই সুলতান তাঁর দোকানে ঢুকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার খুলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে তিনি নিজেও অনেকটা দগ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। মুহূর্তে অন্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে নজরুল ও মোকারমের দুটিসহ মোট চারটি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ৬০-৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

মোকারম বলেন, ‘নজরুলরা আমার জমি দখল করে রেখেছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে সে দোকানপাট তুলে ভাড়া দিয়েছিল। আমিও বাধ্য হয়ে তার কাছ থেকে একটি দোকান ভাড়া নিয়েছিলাম। মামলার দীর্ঘদিন পর আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। সোমবার দোকানপাট উচ্ছেদ করতে আদালত ও প্রশাসনের লোকজন সেখানে যায়। উচ্ছেদের সময় বিবাদী পক্ষ দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার একটি দোকানও পুড়ে গেছে।’

এই ঘটনায় নজরুল ইসলাম বা তাঁর লোকজনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের পর তাঁরা পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করিমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিন কবির বলেন, ‘আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে উচ্ছেদ অভিযানের সময় বিবাদী পক্ষের একজন দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন নেভানোর পর উচ্ছেদ আদেশ তামিল করা হয়েছে। বাদী পক্ষকে ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেক আল মামুন বলেন, বিবাদী পক্ষ আগুন লাগিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। আগুন লাগানোর ঘটনায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

তীব্র শীতে শীতার্তদের পাশে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন, রেলস্টেশনে কম্বল বিতরণ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল পৌনে ১২ কোটি টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ৩৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

মুরগি কেনার সিরিয়াল নিয়ে তর্ক, বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ পাকুন্দিয়ার সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলমের দাফন

বিয়ের তিন বছরের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

নরসুন্দার তীর থেকে ৪ শতাধিক গ্রিল উধাও

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির দলীয় স্লোগান, নিষেধ করায় তোপের মুখে ইউএনও

যুবদল নেতার মামলায় আসামি মৃত ব্যক্তি, হাজতি ও প্রবাসী

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন