মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘণ্টা পর নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন শিশুর প্রাণ গেল।
নিহত শিশুরা হলো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) ও মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় ওঠে ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজারসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর আগেই নৌকাটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে শাপলা আক্তারের (১৫) নামের এক শিশুর মরদেহ ওই দিন দুপুরেই ঘটনাস্থলের খানিকটা দূর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতদের স্বজনেরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খুঁজতে বের হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে শিশু দুটির মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।