খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আক্তার হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বটিয়াঘাটা থানার দারোগার ভিটায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত আক্তার হোসেন গল্লামারি এলাকার বাসিন্দা চাঁদ আলী মোল্লার ছেলে। বড় বাজার এলাকার একটি হোটেলে তিনি কাজ করেন। বর্তমানে আক্তার হোসেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকালে বাড়িতে ছিলাম। ওই সময়ে ভাগনে শাহেদের বন্ধুরা আমাকে ডেকে বটিয়াঘাটা থানাধীন দারোগার ভিটায় নিয়ে যায়। সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগে চার-পাঁচজন লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার দুই হাতে কোপাতে থাকে। আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অর্থোপেডিকস বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট বাপ্পা রাজ বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রোগীর বাঁ ও ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বাঁ হাতের অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ রকম ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্বৃত্তরা আক্তার হোসেনের পূর্বপরিচিত। সকালে তাকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে ডেকে দারোগার ভিটা আলীনগরে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজন উপস্থিত ছিল। সন্ত্রাসীদের ধারণা ছিল, আক্তার হোসেন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে এবং সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য প্রদান করে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’