ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে সড়ক বিভাগের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগকে পুরো টাকা ফেরত দিয়েছে বেসরকারি একটি ব্যাংক। বুধবার দুপুরে জেলার সড়ক বিভাগের কার্যালয়ে নতুন পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দেয় সাউথইস্ট ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখা কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাকিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়ায় গড়াই নদীর ওপরের সেতুর টোল আদায়ের ইজারার জামানত হিসেবে আড়াই কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ। ইজারার মেয়াদ শেষে ২০২১ সালের ২৯ জুন ওই পে-অর্ডার ভাঙাতে গিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানতে পারেন সেটি ভুয়া পে-অর্ডার। তখনই ধরা পড়ে এই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা। এই ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।
সড়ক বিভাগের এই প্রকৌশলী আরও বলেন, শুরুতেই দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে আড়াই কোটি জামানত নেয় সড়ক বিভাগ। এ বছর জুনে ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় জামানতের ওই অর্থ সমন্বয় করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পরে পে-অর্ডারের বিপরীতে টাকা না পাওয়ায় দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার হালিমুজ্জামান ও সাউথইস্ট ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে সড়ক বিভাগ। সেই মামলা এখনো তদন্তাধীন আছে।
এ বিষয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত শেষে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক পে-অর্ডারের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। পে-অর্ডারের ক্ষেত্রে সব দায় ব্যাংকের। সে জন্য ব্যাংকই টাকা ফেরত দিয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সাউথইস্ট ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার ওই সময়ের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও একই ব্যাংকের ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা জালিয়াতির মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন জাকির। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।