ঝিনাইদহে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পাওয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার আলিয়ার-বাকড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নরহরিদ্রা গ্রামের রিয়াজুল মন্ডল (৪৫) ও বাকড়ি গ্রামের সিল্টু শেখকে (৪০) সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে লাঠি ও ইটের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার আলিয়ার-বাকড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ের কিছুদিন আগে বিয়ে হয়। গতকাল শুক্রবার মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেন রফিকুল। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে গ্রামের শাহীন মিয়া ও তাঁর বাবা দুদু মিয়াকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে শাহীন মিয়ার সমর্থকদের মনোমালিন্য তৈরি হয়। এর জেরে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহীন, রিয়াজুলসহ অন্যরা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত শাহীন মিয়াপক্ষের রিয়াজুল মন্ডল বলেন, ‘বিয়ের দাওয়াত নিয়ে ঘটনা। শাহীনের সঙ্গে মিলে সমাজ-সামাজিকতা করি। এ জন্য তাঁর সঙ্গে মারামারিতে আমিসহ অনেকেই গেছেন। ’
অপরদিকে রফিকুলের সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি সিল্টু শেখ বলেন, ‘ওরা আমাদের ওপর আগে হামলা করে। আমরা প্রতিরোধ করি। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিয়ের দাওয়াত নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি এবং থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’