আগামী ৫ মার্চ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে। এই বিশ্বকাপে যশোরের সব থেকে বড় প্রাপ্তি হচ্ছেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। দেশের নারীদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে জায়গা পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার। তাঁর এই সাফল্যে যশোর ক্রীড়াঙ্গনে আনন্দের জোয়ার বইছে।
শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আসন্ন নারী বিশ্বকাপের জন্য ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে নির্বাচকেরা। বিশ্বকাপে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে চলতি বছর এইচএসসি দেওয়া মেঘলা এরই মধ্যে দেশের হয়ে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এই চার ম্যাচ থেকে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ রানে ২ উইকেট এখন পর্যন্ত তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।
মেঘলা ২০১৯ বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে প্রথম দলে ডাক পান। ওই সিরিজের একমাত্র টি-২০ ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে এখনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মেয়ে সানজিদা আক্তার মেঘলার। তবে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দলের বিপক্ষে তিনটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মেঘলা বলেন, বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই থেকে দলের সঙ্গে আছি। যদি সুযোগ পাই তাহলে নিজের সেরাটা দেব। চেষ্টা থাকবে দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা।
যশোর শহরের মধুসূদন তারাপ্রসন্ন (এমএসটিপি) গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ক্রিকেটের চর্চা শুরু মেঘলার। জাতীয় স্কুল মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় তার। সেখানে ক্রিকেটের প্রতি ভালো করায় আগ্রহ বেড়ে যায় তাঁর। মেঘলার আগ্রহে ক্লেমন আছিয়া ক্রিকেট ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে দেয় পরিবার। একাডেমির প্রশিক্ষক এহসানুল হক সুমন ও আসাদুল্লাহ খান বিপ্লবের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন ক্রিকেট আঙিনায়। এক সময় ঢাকার বিকেএসপিতে ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সেখানেই আরও বেশি ক্রিকেট নিয়ে অনুশীলন করেন। খেলেছেন ঢাকার বেশ কয়েকটি ক্লাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের স্ট্যান্ডবাই তালিকায় ছিলেন যশোর রাজারহাটের সুলতানা খাতুন। এ ছাড়া যশোরের তুষার ইমরান ও সৈয়দ রাসেল খেলেছেন বিশ্বকাপ। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছে টিপু সুলতান ও মোহাম্মদ রনি। এদের পাশে জলকন্যা বলে পরিচিত পাওয়া সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা বিশ্ব সাঁতার প্রতিযোগিতার একাধিকবার খেলেছেন।