বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।
বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’
তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।