যশোরের চৌগাছার চিহ্নিত মাদক কারবারি আনোয়ার হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আনোয়ারের বাড়ি উপজেলার শাহাজাদপুর গ্রামে।
আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) যশোরের বিশেষ জেলা জজ এস এম নূরুল ইসলাম এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি আনিছুর রহমান পলাশ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে যশোর ডিবির কাছে খবর আসে—চৌগাছার কদমতলা দিয়ে মাদক কারবারিরা ফেনসিডিলের বড় চালান যশোরের দিকে নিয়ে আসবেন। এ সময় ডিবির একটি দল সেখানে ওত পেতে থাকে। ভোররাত ৪টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। প্রথম মোটরসাইকেলে ছিলেন আনোয়ার আর পেছনে বাঁধা ছিল একটি বস্তা। আনোয়ারকে আটক করার সঙ্গে সঙ্গে পেছনের মোটরসাইকেলে থাকা দুজন মোটরসাইকেল ও তাঁদের সঙ্গে থাকা একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যান। পরে আনোয়ারের কাছে থাকা বস্তা ও অপর মোটরসাইকেলে থাকা বস্তা থেকে মোট ৬০৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
পলাতক ব্যক্তিদের নাম জানতে চাইলে আনোয়ার জানান, তাঁর সঙ্গে ছিলেন একই উপজেলার চানপুর গ্রামের ইসরাইল ওরফে বালাম ও চান্দু। এ ঘটনায় ডিবির এসআই এনামুল হক বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে এসআই আবুল খায়ের তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
আজ রায় ঘোষণা করে আদালত আনোয়ারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে অপর দুই আসামি বালাম ও চান্দুকে খালাস দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আদেশ দেন বিচারক।