যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। ১৩টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদ পেয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ২টি পেয়েছেন জামায়াত-সমর্থিত লইয়ার্স কাউন্সিলের প্রার্থীরা। ভোট গণনা শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহসীন আলী।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবুর নেতৃত্বে ১১ সদস্য ফোরাম ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ভোট গ্রহণের দুদিন আগে বাম গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের দুজন প্রার্থীকে যুক্ত করে পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করে এই ফোরাম।
অন্যদিকে জামায়াত-সমর্থিত প্যানেলও বিএনপি ঘরানার আবু মোর্তজা ছোটকে সেক্রেটারি প্রার্থী করে গঠন করেন লতিফ-ছোট ঐক্য পরিষদ। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ব্যারিস্টার কাজী রেফাত রেজওয়ান সেতু।
বিএনপি-সমর্থিত ফোরাম থেকে বিজয়ী যাঁরা
সহসভাপতির দুই পদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা ও বাসুদেব বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক পদে নূর আলম পান্নু, সহকারী সম্পাদক সেলিম রেজা ও আশরাফুল আলম। গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে জয়ী কামরুল হাসান সোহেল।
কার্যকরী সদস্যের ৫টি পদের তিনটিতে বিএনপি এবং দুটিতে জামায়াত সমর্থিতরা জয়লাভ করেছেন। বিএনপি-সমর্থিত রেহেনা খাতুন, মঞ্জুরুল মাহমুদ লিটু ও মৌলুদা পারভীন। জামায়াত-সমর্থিত শফিকুল ইসলাম ও আজহারুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ১৩ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিএনপি-সমর্থিত সাবু-গফুর ঐক্য প্যানেলের ১৩ প্রার্থী, জামায়াত-সমর্থিত লতিফ-ছোট ঐক্য পরিষদের ৭ প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন কাজী রেফাত রেজওয়ান সেতু।