ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়ন ও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওয়াপদা মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির আয়োজন করেন শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। অপর দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একই কর্মসূচির আয়োজন করে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ। বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিল। উভয় পক্ষের কয়েক শ মানুষ চলাচলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াপদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অন্যরা দ্রুত সরে পড়েন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।