নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জায়ান মোল্যা নামের সাত বছরের এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশুটির পরনে থাকা প্যান্ট দিয়ে মাথা-মুখ ঢাকা ছিল। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার ও স্বজনদের দাবি, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর হত্যাকাণ্ড কি-না সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে থানা-পুলিশ।
শিশুটি ওই গ্রামের গ্রিসপ্রবাসী পলাশ মোল্লার ছেলে এবং স্থানীয় কিন্ডার গার্ডেনে শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে শিশু জায়ান স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর নিখোঁজ হয়। জায়ানের মা ও পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেও কোথাও পায়নি।
দুই ঘণ্টা পর বাড়ির অদূরে একটি বাগানের মধ্যে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটির লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকলেও দুই পা মাটির সঙ্গে লেগে ছিল এবং রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর পরনে থাকা প্যান্ট খুলে মাথা ও মুখ ঢেকে রাখা ছিল।
জায়ানের মা সিনথিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে স্কুল শেষে তেঁতুল খুঁজতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে চান খাঁর বাগান থেকে ছেলের ঝুলন্ত লাশ পাই। কত নিষ্ঠুরভাবে মেরেছে। তার পরনের প্যান্ট খুলে মুখ বেঁধে হত্যা করা হয়েছে। যে বা যারা আমার ছেলেকে মেরেছে, তাদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলম জানান, ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। একটি গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলন্ত ছিল এবং পরনের প্যান্ট দিয়ে মুখমণ্ডল ঢাকা ছিল। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। হত্যাকাণ্ড কি-না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।