তীব্র তাপদাহে পুড়ছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ (দশ) কিলোমিটার।
এর আগে গত সোমবার মৃদু তাপপ্রবাহ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করলেও পরের দিন মঙ্গলবার তা ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রূপ নেয়। বুধবার জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
এদিকে তীব্র তাপদাহে চরম বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী ও বৃদ্ধ মানুষেরা। গরমে যেন শরীর পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। একটুতেই হাঁপিয়ে উঠছেন শ্রমজীবীরা বাতাস আর ছায়াযুক্ত স্থানে বসে হাঁসফাঁস করছেন মানুষ। তৃষ্ণায় স্বস্তি পেতে ঘন ঘন ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত, আখের রস আর ডাবের পানি খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন।
তাপদাহের কারণে শহরে কমে গেছে মানুষের চলাচল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। পথচারীরা অনেকেই ছাতা মাথায় চলাচল করছেন।
এনজিও ব্যক্তিত্ব মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্বিচারে গাছ কাটছি কিন্তু লাগাচ্ছি না। নানাভাবে পরিবেশ বিপর্যয় করছি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ বুধবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ছিলে ১৮ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ছিলে ৮ কিলোমিটার।’
তিনি বলেন, ‘জেলায় ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পেতে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহের দিকে যাচ্ছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।’ ফলে আগামী দুই দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।