পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাংশের প্রার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হাসিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির কমিটির মেয়াদ ২৯ মাস পার হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে না। তফসিল ঘোষণার পর ভোটের আগের দিন গত ২৬ জানুয়ারি অনিবার্য কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এরপর কোভিডের কারণ দেখিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করে নোটিশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে কার্যক্রমে ফিরলেও নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদপ্রার্থীর ছাত্রত্ব থাকা এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম থাকার পরও ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাসিবুল। অপর সভাপতি প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতেই তাঁর ছাত্রত্ব শেষ পর্যন্ত কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক সভাপতি শাকিল আহমেদ এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল অপু তাঁদের আধিপত্য ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন হাসিবুল। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচন তারিখ ঘোষণা ও সব প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আইনুল হক বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দিয়ে দিয়েছি। তারা সমাধান করলেই নির্বাচন হবে। আমি পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে নির্বাচন দিতে চাচ্ছি না এটা ভিত্তিহীন। কালকেই আমি পদত্যাগ করব।’