পর্যায়ক্রমে সব মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকেরা। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি শিক্ষকদের আন্দোলনের একপর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি শিক্ষকদের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হবে। মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগ অনুদানভুক্ত ১৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার জন্য অনলাইনে এমপিওর আবেদন করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান অনলাইনে আবেদন করেন এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো তালিকা প্রকাশ না করায় শিক্ষকেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
তাই সরকারের ঘোষণা যাতে দ্রুত বাস্তবায়িত হয় সে কারণে পাঁচটি দাবি তুলেছেন তাঁরা। সেগুলো হলো—
১. অনুদানভুক্ত অনলাইনে আবেদনকৃত সব প্রতিষ্ঠানের দ্রুত তালিকা প্রকাশ।
২. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির জন্য দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
৩. অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণ ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি করা এবং
৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিদপ্তরের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দাবিগুলো ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নিলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে শিক্ষক মহাসমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জোটের উপদেষ্টা এস এম জয়নাল আবেদীন জিহাদী, মহাসচিব মো. সামসুল আলম, শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. তাজুল ইসলাম ফরাজী, ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রনেতা মো. ওমর ফারুক, শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ আহমেদ আলী, শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম হিরন ও শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ মহাসচিব মো. রেজাউল হক।