সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যেন ভারতীয় গরু ঢুকতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়া নজরদারি রাখছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠের পশুর হাট পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুত রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের গরু প্রয়োজন নেই। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাইপথে যেন ভারতীয় গরু ঢুকতে না পারে, সে জন্য কড়া নজরদারি রাখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশের হাটগুলোতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি চিকিৎসকেরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। গরু মোটাতাজাকরণ থেকে ব্যবসায়ীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর পশুর হাটগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা বেশ ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সকালে খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কর্তৃক চিকিৎসা প্রদান এবং মনিটরিং বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘কোরবানি বলতে আমরা গরু-ছাগল জবাই বুঝি। কিন্তু এর গভীরে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের ঘটনা রয়েছে। বাবা হয়ে সন্তানকে ত্যাগ করেছেন। কোরবানির ঈদে ত্যাগের মহিমা যেন আমরা না ভুলি।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘প্রাণিকল্যাণের ব্যাপারে আমি শুধু অনুরোধ করছি, সদয় হন, তা নয়, এটা বলতে হবে, কঠিনভাবে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা একটা অপরাধ। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটা করতে দেওয়া যাবে না। এখানে নরম ভাষা প্রয়োগ করা যাবে না। আমি কাকুতি-মিনতি করতে চাই না। এটা যেন না হয় সেই ব্যবস্থা নেব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সুফিয়ান, পরিচালক এ বি এম খালেদুজ্জামান, এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।