কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে আধিপত্য বিস্তার ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
গতকাল রোববার রাতে কাকন গ্রুপের নিহত সদস্য লিটন হোসেনের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নতুন একটি মামলা করেন। এতে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বাদী হয়ে কাকন বাহিনীর প্রধান প্রকৌশলী কাকনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘার মণ্ডল বাহিনী ও দৌলতপুরের কাকন বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের তিনজন নিহত হন। ঘটনার দিন নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) ও শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। তাঁরা মূলত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বাঘায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মাঘাট থেকে কাকন বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত কসমেটিকস ব্যবসায়ী লিটন হোসেনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা নৌ পুলিশ। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নতুন মামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, পদ্মার চরের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।