মাদারীপুরের কালকিনিতে এক পা কেটে নেওয়ার মামলার আসামিরা এবার মামলার বাদীর চাচা মো. লিয়াকত আলী খানের (৫৮) দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামে ভুলু খানের ছেলে মিরাজ খানের বাঁ পা কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী আপাং কাজীর লোকজন। এ ঘটনায় মিরাজ খানের ভাই কালাম খান বাদী হয়ে কালকিনি থানায় আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে থানা-পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পা কাটা মামলার বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছে আসামিরা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও আহত লিয়াকত খানের ভাতিজা কালাম খান বলেন, ‘আমার ভাই মিরাজ খানের পা কেটে নেয় আপাং কাজীর লোকজন। তাই আমি আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে কালকিনি থানায় মামলা করি। আদালত আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় আমার চাচা লিয়াকত খানের দুই পা ভেঙে দিয়েছে আসামিরা। আমরা এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করছি।’
তবে অভিযোগের বিষয় আপাং কাজী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পা ভাঙার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা তার পায়ে আঘাত করেছে, সেটা আমার জানারও কথা না। এখন তারা পূর্বশত্রুতার কারণে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলছে।’
কালকিনি থানার উপপরিদর্শক কাঞ্চন মিয়া বলেন, ‘আমরা পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে, তা টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। তবে শুনেছি পরে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সামনে কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’