‘শিবির সন্দেহে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধূপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একাধিক নিষিদ্ধ ইসলামি বই, শিবিরসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সবাইকে গতকাল শুক্রবার আদালতে পাঠানো হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে পূর্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গেন্ডারিয়া থানার ১৬ বি/ ১ দ্বীননাথ সেন রোডের বিল্ডিং বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্লাটের মেস বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের। কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শারমিনা আলম, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর নাহিদুল ইসলামসহ প্রায় ২০ জনের একটি দল এই অভিযানে অংশ নেয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সংগীত বিভাগের আল-মামুন রিপন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান ও ওবাইদুল ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমান (অলি), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রওসন উল ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৌহিদুর রহমান।
এবিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের খবর শোনার পর পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী যদি নির্দোষ হয়, আমরা বলেছি তাঁদের যেন হয়রানি না করা হয়।