হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন: মায়ের আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘আমাদের ওপর অবিচার করবেন না। এই রমজান ও ঈদে আমাদের সন্তানদের ছেড়ে দিন’, কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে এই আকুতি জানান গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের মা নুরজাহান বেগম।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে গত ২৪ মার্চ গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থীর পরিবার। এ সময় মেহেদী হাসানের মা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ মার্চ ভোররাতে গেন্ডারিয়ার একটি ভাড়া মেস থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি টিম। আমরা গ্রেপ্তার হওয়া সেই শিক্ষার্থীদের পরিবার।’

নুরজাহান বেগম জানান, আটকের পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। পরে চারদিকে জানাজানি হলে পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেওয়া একটি মামলায় ১২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ড শেষে এই শিক্ষার্থীদের জেলে পাঠানো হয়। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এসব শিক্ষার্থী দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আয়োজিত এক মিছিলে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এবং এ সংক্রান্ত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর কাজে লিপ্ত ছিলেন। 

‘এদিকে এই ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে অজুহাতে ১২ শিক্ষার্থীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।’ -যোগ করেন মেহেদীর মা নুরজাহান। 

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, এই ১২ জনকে আটকের পর ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক আইনের আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অথচ ওই সময়ে করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে চারজন চলতি বছরের মার্চে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন বলেও জানান তাঁদের পরিবার। আর ঢাকায় এসেছেন দুই মাস আগে। তাহলে পুলিশ গত বছরের মামলায় গ্রেপ্তার করে কীভাবে? এমন প্রশ্নও রেখেছেন গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেহেদীর মা নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চাই কোন আইনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে? পুলিশের মিথ্যা মামলা আমলে নিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে তাহলে শিক্ষার্থীরা কার কাছে যাবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আচরণের কারণে নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হবে।’ 

নুরজাহান বলেন, ‘আমরা আশা করব, সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার আদেশ বাতিল করবে। আমরা খুবই চিন্তায় আছি। আমাদের মনের অবস্থাটা বোঝেন। এই পবিত্র রমজান ও ঈদে আমাদের সন্তানের আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। আমাদের ওপর অবিচার করবেন না।’

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন