নিজেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে দুজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে নিয়োগপত্র দুটি জাল প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালে প্রতারণার অভিযোগে রংপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। সে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম গোলাম আহমেদ সাব্বির (৫৭)। গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে কোটি টাকার প্রতারণার মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন গোলাম আহমেদ সাব্বির (৫৭)। গতকাল মধ্যরাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোলাম আহমেদ সাব্বির নিজেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলে মো. আব্দুস সালাম ও মো. রায়হান আলী নামের দুজন তাঁকে মোট ৪০ লাখ টাকা দেন। এর মধ্যে নগদ ১৫ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং অন্য ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেন। টাকা পাওয়ার পর সাব্বির তাঁদের ভুয়া নিয়োগপত্র দেন।
আব্দুস সালামকে সিলেট অঞ্চলে উপখাদ্য পরিদর্শক পদে এবং রায়হান আলীকে খুলনা অঞ্চলে সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগপত্র দেন। তাঁরা কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে নিয়োগপত্র দুটি জাল প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাঁরা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কোতোয়ালি থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাব্বিরের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই। রূপগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে তাঁর পূর্বপুরুষের বাড়ি থাকলেও ২৫-৩০ বছর আগে পরিবারসহ সেখান থেকে সরে যান। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। এর আগে এক মামলায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত গোলাম আহমেদ সাব্বির পলাতক ছিলেন এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন।