টিউশনির টাকার দাবিতে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. তানভীর আলম। তিনি জবির কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ওয়ারি এলাকার ৭ /ই, ব্যাংকিং স্ট্রিটের একটি ভবনের ষষ্ঠ তলার ভাড়াটিয়া মো.আজহারের বিরুদ্ধে এই জিডি করা হয়।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তানভীর ও নাজমুল হাসান শিমুল নামের দুই শিক্ষার্থী ওই অভিভাবকের কাছে মোট ৭ হাজার ৫০০ টাকা পান। টাকা দাবি করলে দুই শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি।
এ ব্যাপারে নাজুল হাসান শিমুল বলেন, 'করোনাকালে এই টাকাটুকু খুবই দরকার ছিল। এই দুঃসময়ে টাকাটা না দেওয়া আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য অমানবিক। ওই অবিভাবকের কাছে আরো দুইজন শিক্ষক টাকা পান। তিনি সন্তানকে পড়িয়ে নেওয়ার পর আর টাকা দেন না। এক শিক্ষককে তিন-চার মাসের বেশি রাখেন না তারা। সবার সঙ্গে একই প্রতারণা করে।'
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী তানভীর বলেন, আমার সঙ্গে আইসিটি কোর্স সম্পন্ন করে দেওয়ার চুক্তি ছিল। পড়ানো শেষে টাকা চাইতে গেলে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরায়েছে এবং গত মাসে টাকা চাইতে গেলে উনি আমাকে হুমকি-ধমকি ও গালাগালি দেন এবং টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার শিকার আমার আরো পরিচিত দুজন। তারাও ওই ব্যক্তির কাছে টাকা পায়।
ভুক্তভোগী রুবেল নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি উনার মেয়ের পদার্থ ও রসায়ন পড়াতাম। আমি দুই মাসের আট হাজার টাকা পাই। আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীকে ফোন দেওয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তার ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে দেন এবং তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বলেন বাসায় কেউ নেই। অভিযুক্ত অভিভাবক আজহারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ওয়ারি থানার এসআই জহির বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। কোর্ট অনুমোদন আসার পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, বিষটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি।বিষয়টি আরো গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য থানায় কথা বলব। শিক্ষার্থীরা যেন ন্যায্য টাকা পায় সেই ব্যবস্থা করব।