এএসআই স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) এদেল হককে (৩৪) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে টঙ্গী পূর্ব থানায় কর্মরত এএসআই লিজা আক্তার (৩২) তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত এদেল হককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
লিজা টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার লুহুরিয়া গ্রামের গফুর মিয়ার মেয়ে। আর এদেল হক কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার ছাটমাধাই গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। তিনি খুলনা জেলার সদর রেলওয়ে (জিআরপি) ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে ২ পুলিশ কর্মকর্তা দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর থেকে অভিযুক্ত এদেল হক তাঁর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে দ্বিতীয় স্ত্রী লিজার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন।
এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ কোয়ার্টারে আসেন এদেল। পরে তাঁদের মাঝে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এদেল ওই কক্ষে থাকা ধারালো বটি দিয়ে আঘাত করলে লিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে থানার ডিউটি অফিসার ও অন্য পুলিশ সদস্যরা লিজাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এএসআই লিজা বলেন, ‘প্রায় দশ বছর আগে আমার প্রথম বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তালাক নিয়ে আসি। এদেল আমার দ্বিতীয় স্বামী। সে আজ আমাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’