সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে; সাবেক প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক সাত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের আবেদন থেকে জানা গেছে, মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং মেয়ে নাফিসা কামাল ও কাশফি কামালের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। এদিকে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের আয়কর নথি জব্দেরও আবেদন করেন মো. আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে শামীম ওসমানের আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল।
প্রত্যেকের আয়কর নথির তথ্য চেয়ে পৃথক আবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইতিমধ্যে দুদক মামলা করেছে। মামলার অভিযোগগুলো তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন যাচাই করা দরকার। এ কারণে নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন।
প্রত্যেকের বিরুদ্ধে করা মামলাসূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার ৩১২ টাকার, তাঁর স্ত্রী ফিরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৭ টাকার, শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার, মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামালের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার, মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকার ও আরও এক মেয়ে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।
মুস্তফা কামালের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।