মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছেলের দেওয়া চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করজনা গ্রামের মো. অহেদ আলী খানের স্ত্রী রাহেলা খাতুন (৬২)। তাঁর চার ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে একই গ্রামে। বৃদ্ধ ওই দম্পতি তাঁদের মেয়ের বাড়িতে থাকেন। নিহত রাহেলা বেগম তার মেজো ছেলে মো. বাবুল খানের বাড়িতে ভাত খেয়ে তার মেয়ের বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার পরে ছেলে বাবুল খান তার মায়ের কাছে এসে বলে আমার এক হাজার টাকা চুরি করেছ। এ চুরির অপবাদ সইতে না পেরে রাহেলা বেগম গতকাল বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় পাশের বাড়ির গাছে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ছেলের চুরির অপবাদ দিলে সইতে না পেরে ওই নারী আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ও নিহতের অন্যান্য আত্মীয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।
মৃত রাহেলার নাতি (সেজো ছেলের পুত্র) আরিফুল ইসলাম (৩০) বলেন, আমার মেজো কাকা দাদিকে টাকা চুরির অপবাদ দিলে, আমার দাদি অনেক কান্না কাটি করেছে। হয়তো ছেলের দেওয়া কষ্ট সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. বাবুল মিয়া বলেন, আমার ঘর থেকে এক হাজার টাকা হারিয়ে যায়। মা খাবার খেয়ে আসার পর থেকেই ওই টাকা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি শুধু মাকে বলেছি এক হাজার টাকা এনেছ কেন। এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে আমার সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। এর বেশি কিছু আমি বলিনি। তারপর আমি আর জানি না। সকালে খবর পাই মা মারা গেছে।
বড়টিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ হোসেন বাবর বলেন, লোকমুখে খবর শুনেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধার সঙ্গে তার ছেলের টাকা চুরি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ তদন্ত করছে। সুরতহাল রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।