মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রের বিশেষাঙ্গ কেটে ফেলার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত তৃতীয় লিঙ্গের জুঁই আক্তারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফয়সাল আল-মামুন এই আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর থেকে জুঁইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার মাঠের বাজার থেকে ১৮ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্র ইয়াছিন আরাফাতকে জোর করে মাইক্রোবাসে তোলে স্থানীয় হিজড়াদের ভ্যানচালক নুরু বকতি। পরে তৃতীয় লিঙ্গের জুঁইয়ের নেতৃত্বে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে ওই কিশোরকে অচেতন করে বিশেষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় রোববার সকালে একটি প্রাইভেট কারে ইয়াছিনকে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ইয়াছিনের বাবা রেজাউল মোড়ল জুঁইকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে জুঁইকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই অমানবিক ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় ভ্যানচালক নুরু বকতি, খুলনার হিজড়া স্বপ্নাসহ আরও একজন জড়িত। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।