জনগণের সচেতনতা ও সেবাদানকারী সব প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) সকালে গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সভা করেছি। তাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী সারা বছর ধরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে ডেঙ্গুতে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। স্বল্প জনবল নিয়েও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
জনবলের সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে প্রশাসক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রতি হাজারে ২ দশমিক ৩ জন কর্মী থাকা প্রয়োজন, কিন্তু আমাদের রয়েছে প্রতি ১১ হাজারে একজন কর্মী—যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম আরও জোরদার করতে ডিএনসিসি এলাকায় সাতজন নতুন পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, কীটতত্ত্ববিদ মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি এবং ডিএনসিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।