বিনিয়োগকারীর ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে অন্য আসামি শেখ সামসুর রহমানকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত প্রত্যেককে ৬ কোটি টাকা করে জরিমানা করেন। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের অনুপস্থিতিই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় গ্রেপ্তার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সোসাইটির সহসভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জালাল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। আর তদন্তে মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে অভিযোগভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আদালত জালাল উদ্দিন ও সামসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন। এ সময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তিনি ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নাম রশিদের মাধ্যমে জমা নেন। কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থপাচার করেন।