১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হলেও সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীরা চূড়ান্ত নিয়োগ ও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ করেছেন। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ দুপুর পর্যন্ত চলে। এ সময় প্রার্থীরা নানা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড হাতে দাবি আদায়ে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সারা দেশে এক লাখেরও বেশি শূন্য পদের বিপরীতে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও ৬০ হাজারেরও বেশি পদ খালি রয়েছে। অথচ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থী সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তাঁদের দাবি, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শূন্য পদ যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। দাবি আদায় না হলে বৈরী আবহাওয়াতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। একই সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ না এলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়। এতে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। পরে ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শূন্য পদের চাহিদার বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী প্রাথমিক সুপারিশ পান। দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনটিআরসিএ ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে আসছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক যাচাই শেষে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন ও নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।