চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
আজ রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের কার্যকরী সদস্য প্রার্থী হামিদুল্লাহ সালমান বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি নিছক কোনো হামলা নয়, বরং পতিত স্বৈরাচারের সন্ত্রাস বাহিনী এই হামলা করেছে পরিকল্পিতভাবে। যখনই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যায়, তখনই স্বৈরাচারী হাসিনার গুন্ডাবাহিনী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে বাধা দেয় সন্ত্রাসী কায়দায়। উক্ত হামলায় আমাদের যেসব শিক্ষার্থী ভাইবোনেরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার দায়-দায়িত্ব ইন্টেরিমকেই নিতে হবে। সেই সঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। দাবি না মানা হলে সারা দেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
মানববন্ধনে ছাত্রদল-সমর্থিত ভিপি পদপ্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশ যখন গণতন্ত্রের দিকে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে, সেই সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাইবোনেরা হামলার শিকার হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন ছাত্রদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষার্থী ও প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে, সে সময় পতিত ফ্যাসিস্ট তাদের গোপন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা দেশের প্রশাসনের কাছে বলতে চাই যে আমাদের শিক্ষার্থী ভাইবোনদের যারা আহত করেছে, তাদের বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে।’