বরিশাল–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারকে মারধরের পর গুলশান থানায় সোপর্দ করেছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে রাজধানীর গুলশান থানায় সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিয়াজুল হক বলেন, শাহে আলমকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকলে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদার দাবিতে হামলা, মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৈয়দ আতিকুর রহমান বাপ্পী নামে এক ব্যক্তি। গত ১১ সেপ্টেম্বর বরিশাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শারমিন সুলতানা সুমির আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। মামলায় শাহে আলমের সঙ্গে তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক এমপির ভাই ও বানারীপাড়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা তালুকদার, অপর ভাই বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ স্বপন, আরেক ভাই রিয়াজ তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুব্রত কুন্ডু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন রায়, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মশিউর রহমান সুমন, আওয়ামী লীগ কর্মী পরিতোষ গাইন ও রোথেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪ / ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।